মাজহারুল ইসলাম: বর্তমানে প্রতি মাসে ৫০০ কর্মী যাচ্ছেন দেশটিতে। এরই ধারাবাহিকতায় চলতি বছরের জুন নাগাদ মোট ১০ হাজার বাংলাদেশি পোশাক কর্মীর কর্মসংস্থান হবে জর্ডানে। 

জানা যায়, মধ্যস্বত্বভোগীদের দৌরাত্ম্য শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনা ও প্রত্যন্ত অঞ্চলের বাসিন্দাদের সুবিধার জন্য ফেব্রুয়ারিতে জর্ডানে আবেদন প্রক্রিয়াটি অনলাইন করা হয়েছে। কর্মসংস্থানে ইচ্ছুক ব্যক্তিরা মোবাইল ফোনের মাধ্যমে সহজেই আবেদন করতে পারবেন। সরকারিভাবে যাওয়া এসব কর্মীর বাসস্থান ও খাবার খরচ বহন করবে নিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান।

বাংলাদেশ ওভারসিজ এমপ্লয়মেন্ট অ্যান্ড সার্ভিসেস লিমিটেডের (বোয়েসেল) তথ্যানুযায়ি, ২০১০ সাল থেকে এ পর্যন্ত জর্ডানে ১ লাখ ৭ হাজার বাংলাদেশি পোশাক কর্মীর কর্মসংস্থান হয়েছে। যার ৯০ ভাগ নারী। 

বোয়েসেলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. মল্লিক আনোয়ার হোসেন জানান, গামের্ন্টস সংক্রান্ত কাজে দক্ষরা ৩ বছরের জন্য দেশটিতে যাওয়ার সুযোগ পান। এর আগে ৬ হাজার কর্মী সেখানে গিয়েছে। খুব শিগগিরই বাকি কোটা পূরণ করা সম্ভব হবে।

প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. আহমেদ মুনিরুছ সালেহীন জানান. শ্রমবাজার ধরে রাখতে সরকার আমলাতান্ত্রিক জটিলতা কমানো ও বিদেশে কর্মসংস্থানে ইচ্ছুক কর্মীদের সেন্ট্রাল ডাটাবেজ কার্যকর করার উদ্যোগ নেওয়র হয়েছে।

প্রসঙ্গত, করোনা মহামারি ও বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দার কারণে গত ২ বছর জর্ডানে বাংলাদেশি কর্মী নিয়োগ প্রক্রিয়ায় ছিল ধীরগতি। সম্পাদনা: সালেহ্ বিপ্লব